জহির রায়হান— হারিয়ে যাওয়া এক সূর্যসন্তান এবং কিছু পাকিস্তানি পারজের ম্যাৎকার…
2274
বার পঠিতআজ আপনাদের এক বিস্মৃত ক্ষনজন্মা বীরের গল্প বলব। ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার অন্তর্গত মজুপুর গ্রামে জন্ম নেয়া এই বীরের নাম জহির রায়হান। বাঙালি জাতিসত্তা এবং বাংলাদেশ গঠনে এক অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করা এই মহান বীর আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছিলেন একটা পুরনো আমলের সাধারণ ক্যামেরা, কিছু যন্ত্রপাতি এবং কিছু সহযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে। এই সামান্য সম্বল দিয়েই তিনি নির্মাণ করেন স্টপ জেনোসাইড এবং লেট দেয়ার বি লাইট নামের দুটো আউটস্ট্যান্ডিং মাস্টারপিস। যাতে উঠে এসেছে ১৯৭১ সালে ফাকিস্তানি হায়েনাদের চালানো সভ্যতার সবচেয়ে জঘন্যতম নৃশংসতা ও বর্বরতার নির্মম আখ্যান। লেট দেয়ার বি লাইট শেষ করে যেতে পারেননি তিনি। তার আগেই এক নিকৃষ্ট ধূর্ততার শিকার হয়ে তিনি হারিয়ে যান আমাদের মাঝ থেকে চিরকালের জন্য। আমাদের সাহিত্য, আমাদের চলচ্চিত্র ,আমাদের ৭১ , সর্বোপরি আমাদের ইতিহাস মুখোমুখি হয় এক অসীম শূন্যতার। যে শূন্যতা পূরণ হয়নি আজো, হবেও না কোনোদিন…
-_-
জন্ম ফেনীতে হলেও জহির রায়হানের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউট ও আলিয়া মাদ্রাসায়। ‘৪৭ শে দেশবিভাগের পর পাকাপাকিভাবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসে তার পরিবার। ফেনী আমিরাবাদ হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করবার পর জহির ঢাকার জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের সেই অগ্নিঝরা সময়ে যে দশজন অকুতোভয় তরুন প্রথম ১৪৪ ধারা ভেঙ্গেছিলেন, তাদের মধ্যে জহির রায়হান ছিলেন অন্যতম। এই ভাষা আন্দোলনে তার এই প্রত্যক্ষ ভূমিকা পরবর্তীতে জীবন থেকে নেয়া এর মত অমর মাস্টারপিস উপহার দিয়েছিল পৃথিবীর চলচ্চিত্র ভাণ্ডারকে। আর আমাদের চলচ্চিত্র ইতিহাসকে করেছিল সমৃদ্ধ এবং ঐশ্বর্যশালী। ঢাকা মেডিক্যালে কিছুদিন অধ্যায়ন করেছিলেন জহির। যদিও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি সমাপ্ত করেন তিনি। যুগের আলো পত্রিকায় ছাত্রবস্থায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করা সব্যসাচী জহির এরপর কাজ করেছেন খাপছাড়া, সিনেমা ইত্যাদি পত্রিকায়। ১৯৫৬ সালে বাংলা মাসিক পত্রিকা প্রবাহ তে সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু চলচ্চিত্র ছিল তার প্যাশন। ১৯৫৭ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে পাকিস্তানি চিত্র পরিচালক জারদারির সাথে জাগো হুয়া সাভেরা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সালাউদ্দিনেরযে নদী মরুপথে চলচ্চিত্রেও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করা জহির ১৯৬০ সালেই পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কখনো আসেনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। সেই যে শুরু, এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি এই চলচ্চিত্রগুরু। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা এহতেশাম তাকে এ দেশ তোমার আমারচলচ্চিত্রে কাজ করবার আমন্ত্রণ জানান। তিনি এই চলচ্চিত্রে সূচনাসঙ্গীত তৈরি করেন। এই চলচ্চিত্রে কাজ করবার সময় ছবির নায়িকা সুমিতা দেবীর প্রেমে পড়ে যান তিনি। ফলাফল ১৯৬১ সালে তাদের পরিনয় এবং দুই সন্তান অনল রায়হান ও বিপুল রায়হানের জন্ম। ১৯৬৪ সালে পাকিস্থানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র সঙ্গম নির্মাণ করে নতুন ধারার সূচনা করেন জহির। ১৯৬৫ সালে প্রথম সিনেমা স্কোপ ছবিবাহানা নির্মাণ করেন। এরই মাঝে ১৯৬৮ সালে পরিনয়বন্ধনে আবদ্ধ হন চিত্রনায়িকা সুচন্দার সাথে। তাদের ঘরে জন্য হয় অপু রায়হান এবং তপু রায়হানের। কিন্তু চলচ্চিত্র বানানো চলছেই… একের পর এক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে জহির চেনাতে থাকেন নিজের জাত। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালে নির্মাণ করেন পৃথিবীর চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক মাস্টারপিস জীবন থেকে নেয়া। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সব গুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে ছুয়ে যাওয়া এই চলচ্চিত্রটি আমাদের চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক অনবদ্য স্থান দখল করে আছে। জহিরের চলচ্চিত্র বানাবার মূলমন্ত্র ছিল হাতের কাছে যা আছে, তা দিয়েই চলচ্চিত্র নির্মাণ। এই কনসেপ্ট কাজে লাগিয়েই তিনি ৭১রের নয়মাস সারা দেশ ঘুরে সামান্য কিছু যন্ত্রপাতির সাহায্যে নির্মাণ করেন স্টপ জেনোসাইড। যেটা নৃশংসতার ও বর্বরতাকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরেছিল নিখুঁতভাবে.. (y)
জহির রায়হান ছিলেন তৎকালীন বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। শেষ বিকেলের মেয়ে, আরেক ফাগুন, বরফ গলা নদী,আর কত দিন এর মত কালজয়ী উপন্যাস, সূর্যগ্রহন(১৩৬২ বাংলা।),তৃষ্ণা (১৯৬২), একুশে ফেব্রুয়ারি (১৯৭০) কয়েকটি মৃত্য এর মত অভূতপূর্ব গল্পগ্রন্থ এবং কখনো আসেনি, সোনার কাজল, কাঁচের দেয়াল, বাহানা, আনোয়ারা, বেহুলা, জ্বলতে সুরুজ নিচে এবং এ স্টেট ইজ বর্ন। এর মত বিশ্বমানের চলচ্চিত্র তৈরি করে জহির রায়হান নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। শেষ করে যেতে পারেননি ‘লেট দেয়ার বি লাইট’-এর নির্মাণ কাজ। তবে জীবদ্দশায় স্বল্প সময়ে তিনি আমাদের যে আশার আলোকবর্তিকা দেখিয়েছিলেন, তাতে আশায় বুক বেঁধেছিলেন সবাই। কলকাতায় প্রদর্শিত জীবন থেকে নেয়া দেখে ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা এবং ঋত্বিক ঘটকের মত গুণীজন। মুগ্ধ বিস্ময়ে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, যে ইন্ডাস্ট্রিতে জহির রায়হানের মত চলচ্চিত্রকার আছে, সে ইন্ডাস্ট্রি একদিন ছাড়িয়ে যাবে পৃথিবীর আর সব দেশের চলচ্চিত্রশিল্পকে। জহির হারিয়ে গেলেন, আর আমাদের ফেলে গেলেন চির আক্ষেপের যন্ত্রণায় পুড়তে…
জহির রায়হান ৭১রের নয়মাস পুরো বাংলাদেশ চষে বেড়িয়েছিলেন। বহু দুর্লভ নৃশংসতার দৃশ্য তার ক্যামেরায় বন্দি করে পুরো পৃথিবীকে দেখিয়েছেন এবং জানিয়েছেন পাকিস্তানি সেনারা কি অকল্পনীয় ও অভাবিত বর্বরতা চালিয়েছে। এর কারনে তিনি বহু আগেই আলবদরের হিটলিস্টে উঠে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৭১রের ডিসেম্বর মাসের যে সময়টা আলবদরের পাকিস্তানি হায়েনাগুলো এই দেশের ব্রেনটাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেয়ার আপ্রান চেষ্টা করেছিল, সেই সময়টা তিনি ছিলেন ভারতে। ফলে এই নির্মম ম্যাসাকার থেকে তিনি বেঁচে যান। কিন্তু অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. আলীম চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর মত নক্ষত্রগুলোর সাথে তার বড় ভাই শহিদুল্লাহ কায়সারকেও ১৩ই ডিসেম্বর ধরে নিয়ে গেছে জারজ রাজাকার কুত্তাগুলো। বড় ভাইকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করতেন ও ভালবাসতেন জহির। তাই যখন শুনলেন ১৪ই ডিসেম্বর জাতির এই সূর্য সন্তানগুলোকে কুকুরগুলো নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তখন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারলেন না তিনি। দেশ স্বাধীন হবার পর দেশে ফিরেই ভাবী পান্না কায়সারকে সাথে নিয়ে মিরপুরের নানা জায়গায় খুঁজতে শুরু করলেন বড় ভাইকে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে বলা কিছু কথা থেকে জানা যায়,
জহির পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বললেন,
–আমার বিশ্বাস দাদা এখনো বেঁচে আছেন। বউদিও তাই বিশ্বাস করেন। কিন্তু সম্ভব-অসম্ভব অনেক জায়গায়তো খোঁজাখুঁজি করছি–
-মৃতদেহ কি শনাক্ত করতে পারেননি?
–আন্দাজে শনাক্ত করা হয়েছে। ডেডবডিগুলো এমন বিকৃত হয়ে আছে যে কিছু বোঝা মুশকিল। তাই এখনো সকলের মনে ক্ষীণ আশা তিনি বেঁচে আছেন।
–কারা কারা এই ঘটনায় জড়িত কিছু ধরতে পারলেন?
–একজনকে পাওয়া গিয়েছে। সে স্বীকার করেছে যে সে কালপ্রিটদের চেনে। নামও বলেছে। কিন্তু তাদের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।
এভাবেই কেটে যায় প্রায় এক মাসেরও বেশি। এখানে একটু বলে রাখা দরকার যে জহির রায়হান ১৭ই ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসেন। তার ভাইসহ নিখোঁজ হওয়া বুদ্ধিজীবিদের নৃশংসভাবে হত্যা এবং পুরো ঢাকায় চালানো গণহত্যার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং রাজাকার পারজদের ধরবার জন্য একটা কমিশিন গঠন করেছিলেন। এই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন জহির রায়হান এবং সদস্য সচিব ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের বাশারত আলী। প্রতিদিন শত শত স্বজনহারা মানুষ আসতেন এই কমিটির অফিসে। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপির আমলে মিরপুরের একটা আসনের এমপি আবদুল খালেক মজুমদার ছিলেন ৭১রের কুখ্যাত জামাত নেতা ও আলবদর কমান্ডার । শহিদুল্লাহ কায়সারকে তিনিই তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে ধারনা করা হয়। তাকে গ্রেফতার করাতে সক্ষম হয়েছিল এই কমিটি। ঢাকার তৎকালীন দুর্গম এলাকা মিরপুরের বিহারী পল্লী তখনও লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানি সেনা এবং পারজ সংকর বিহারীদের দখলে। প্রচুর পরিমানে গোলাবারুদ এবং অস্ত্র থাকায় বিহারীরা প্রায় মিরপুরকে নিজেদের এলাকা বলে ঘোষণা করে এবং নির্বিচারে বাঙ্গালী হত্যা চালিয়ে যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে তখনও এই পারজগুলো পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানে মুখর করে তুলছে মিরপুরের বাতাস। হঠাৎ একদিন একটা ফোন পেলেন জহির রায়হান। সেদিন ছিল ৩০শে জানুয়ারী। এর কয়েকদিন আগের থেকেই রফিক নামের এক ব্যক্তি জহির রায়হানকে আশ্বাস দিয়ে আসছিল যে, শহিদুল্লাহ কায়সার বেঁচে আছেন। যদিও এই পেছনে কোন ভিত্তি খুজে পাওয়া যায় না। এমনকি রফিককে ৩০শে জানুয়ারির পর আর খুঁজেও পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, মাস্তানা নামের এক বিহারী নৃত্যপরিচালক তাকে খবরটা দেয়। পরবর্তীতে সেই বিহারিকেও আর পাওয়া যায়নি। তাকে জানানো হল তার বড় ভাই শহিদুল্লাহ কায়সারসহ আরও কিছু বুদ্ধিজীবীকে মিরপুরে বিহারীরা আটকে রেখেছে। যদি সেইদিনের মধ্যে তিনি নিজে উপস্থিত না হন, তবে তার ভাইকে আর পাওয়া যাবে না। কিন্তু মিরপুর তো বিহারীদের দখলে। কিভাবে তিনি সেই মৃত্যুপুরীতে যাবেন? কাকতালীয়ভাবে ঠিক সেইদিনই মিরপুরকে পাকিস্তানি ওরসজাত হায়েনামুক্ত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্ট অভিযান চালাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগ পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী পুরো মিরপুর ঘিরে রেখেছিল। জহির ফোনটা রেখে বেরিয়ে গেলেন। বহু চেষ্টা তদবির করে তার চাচাত ভাই শাহরিয়ার কবিরের সাহায্যে মিশে যান সেই অভিযানে অংশ নেয়া সৈন্যদের সাথে। সেনারা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পরে পুরো মিরপুর। এর মধ্যে মিরপুর সাড়ে এগারো নম্বরের দিকে যে দলটি গিয়েছিল তাতে ছিলেন জহির রায়হান। দলটিতে ছিল প্রায় ৪৫-৫০ জন সেনা। মিরপুর সাড়ে এগারো হতে ধীরে ধীরে মিরপুর ১২য়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। বর্তমানে যেখানে মুসলিম বাজার বধ্যভূমি তার কিছুটা সামনে ঝিলের ধারে ছিল একটা পানির ট্যাংক। তার কাছাকাছি আসা মাত্র আচমকা কয়েকশো বিহারী এবং সাদাপোশাকের ছদ্মবেশে থাকা পাকিস্তান সেনারা ভারী অস্ত্র এবং ড্যাগার কিরিচ নিয়ে আল্লাহু আকবর স্লোগান দিতে দিতে এই দলটির উপর হামলা করে। প্রচণ্ড আক্রোশে জানোয়ারের হিংস্রতায় কুপিয়ে, খুঁচিয়ে, গুলি করে হত্যা করে প্রায় সবাইকে। কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। জহির রায়হান চলে যান না ফেরার দেশে…. zithromax trockensaft 600 mg preis
কিন্তু যদি ব্যাপারটা ঠিক এমনই থাকতো,তবে হয়তো আমাদের দীর্ঘকালের এই সংশয়ের যন্ত্রণায় পুড়তে হত না। তার মৃতদেহসহ প্রায় সবগুলো শহীদ সেনার মৃতদেহ বিহারীরা নিয়ে যায় । পরবর্তীতে মাত্র তিন থেকে চার জন সেনার মৃতদেহ খুজে পাওয়া যায়। কিন্তু জহিরের মৃতদেহের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি তিনি আদৌ মারা গেছেন নাকি নিখোঁজ হয়েছেন তা নিয়েও সংশয়ের সৃষ্টি হয়। এর পেছনে অবশ্য রয়েছে এক চমকপ্রদ ঘটনা। সাংবাদিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে আলাপকালে তিনি জানিয়েছিলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা সাম্প্রদায়িক মৌলবাদ শক্তির ব্যাপারে প্রায় সব তথ্যগুলো তিনি গুছিয়ে এনেছেন। এখন শুধু জাতির সামনে উন্মোচনের অপেক্ষা। এ ব্যাপারে ১৯৭২ সালে লেখা এক স্মৃতিকথায় পার্থ লিখেছিলেন… can you die if you take too much metformin
পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখছেন, জহির রায়হান প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, যে সাম্প্রদায়িক চক্র ঢাকার বুদ্ধিজীবী হত্যার পিছনে দায়ী তাদের তিনি নির্মূল করবেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকায় বুদ্ধিজীবী নিধন অনুসন্ধান কমিটি স্থাপন করেন। কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, হলিডে কাগজের সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ খান।
এই বুদ্ধিজীবী অনুসন্ধান কমিটির অফিস হয়েছিল ঢাকা প্রেসক্লাবে।
জহির একদিন আমাকে বলেছিলেন, প্রেস ক্লাবে আসুন। বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার করেছি। আপনাকে দেখাব।
আমি বলেছিলাম, এখন কি আর কাউকে খুজে পাবেন? এসব পণ্ডশ্রম হচ্ছে আপনার। আর তা ছাড়া স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে। আর তারা কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। যা মারা গেছে তাকে কেন আবার খুঁচিয়ে তুলবেন। prednisolone dosing chart
জহির বলেছিলেন, এখানে আপনার সঙ্গে আমি একমত নই। যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী তারা সাময়িকভাবে গা ঢাকা দিয়েছে বটে, কিন্তু তারা বাইরে কোথাও যায়নি। এই দেশেই আছে। আবার ঐক্যবদ্ধ হতে চেষ্টা করছে। আপনি ভাববেন না, সাম্প্রদায়িক শক্তি চিরদিনে মতো খতম হয়ে গিয়েছে।
জহির বলেছিলেন, আপনাকে আমি ওদের গোপন লিফলেট দেখাব। তাতে ওরা লিখেছে, আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি–সবে শুরু। আপনি প্রেসক্লাবে আসবেন, বহু দলিল দেখাব।
নামধাম ঠিকানা সব পেয়েছি–তাদের কিছুতেই নিষ্কৃতি দেওয়া হবে না–আই স্যাল ফাইট আনটু দি লাস্ট। ampicillin susceptible enterococcus
প্রেসক্লাবে গিয়েছিলাম নির্ধারিত সময়ে। কিন্তু যথারীতি জহির সেদিনও কথা রাখেননি। আলাপ হল এনায়েতুল্লাহর সঙ্গে। আমাকে বললেন, কাগজপত্র সবতো জহিরের কাছ।…
সাম্প্রদায়িক চক্র সম্পর্কে জহির রায়হান বহু তথ্য উদ্ধার করেছিলেন। এ কাজেই তার কাল হল। তিনিও নিখোঁজ হলেন। ম্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের হাতে তাদের সবচেয়ে বড়ো শত্রুর জীবন এভাবেই শেষ হয়ে গেল।’
প্রিয় পাঠক, এবার আপনাদের একটা অভূতপূর্ব রুপকথা শোনাব। উপরে কোট করা কথাগুলোতে জহির বলেছেন তিনি সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী পারজদের ব্যাপারে প্রায় সব তথ্য সংগ্রহ করে এনেছেন,যারা দেশকে পরিকল্পিতভাবে মেধাশুন্য করবার জন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। কিন্তু যেহেতু জহিরের লাশটি পাওয়া যায়নি এবং তিনি সরকারী অভিযানে সেনাবাহিনীর সাথে ছিলেন, সুতরাং বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে মূল অভিযুক্ত পাকিস্তানি পারজদের সংগঠন জামায়াত এবং তাদের আইওয়াশ রাজনৈতিক দল বিম্পি প্রায় ২৮ বছর ধরে প্রচার করে এসেছে যে, সেইদিন আসলে সরকারী বাহিনীর সাথে ষড়যন্ত্র করে জহির রায়হানকে পাঠানো হয়েছিল এবং পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। কেননা তার কাছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের এবং কলকাতায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের নানান অপকীর্তির খবর ও তথ্য ছিল। ১০-১৪ ডিসেম্বর পরিচালিত কোল্ড ব্লাড মার্ডারগুলোও যে আসলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এর কাজ, সেইটার খবরও ছিল তার কাছে। এইগুলা প্রচার হলে তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার বিশাল বিপদে পড়ে যেত ইত্যাদি ইত্যাদি ম্যা ম্যা ম্যা ম্যা…
প্রিয় পাঠক, একটু মন দিয়ে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, তারা আসলে বলতে চাইছে যে তারা ৭১রে কোনরূপ অপকর্ম করেনি, তারা নিরীহ নিস্পাপ এবং যা অপকর্ম করবার সেটা করেছে মুক্তিযোদ্ধারা এবং স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের নেতারা। এবং মোস্ট ইম্পরট্যান্টলি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের কোনরূপ সম্পর্ক নাই, এইগুলা সব দুষ্টলোকের রটনা… একটা গোষ্ঠী ঠিক কতটুকু নিকৃষ্ট প্রাণী হতে পারলে এইধরনের অ্যাবসুলেট লাই প্রচার করতে পারে?? একটা মিথ্যা ১০০ বার বললে সেটা আর মিথ্যার মত মনে হয় না। সেটা মানুষ বিশ্বাস করে। হিটলারের মন্ত্রী গোয়েবলসের সেই সূত্র মেনে ১৯৭২ থেকে শুরু করে সেনাসমর্থিত সরকারগুলোর মদদে জামাতের পারজগুলো এই ডাহা মিথ্যা প্রচার করতে থাকে। যেহেতু জহিরের লাশ পাওয়া যায়নি এবং আমরা বাঙ্গালিরা গোল্ডফিশ মেমোরির অধিকারী, সুতরাং মানুষ একসময় এই প্রোপ্যাগান্ডা বিশ্বাস করতে শুরু করে। কিন্তু ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় আসলে একটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায়। সরকারীভাবে ৭১রে বাঁচিয়ে তুলবার উদ্যোগ নেয়া হয়। যদিও এই ভয়াবহ প্রোপ্যাগান্ডা তখনও চলছে। কিন্তু সত্য কোনোদিন চাপা থাকে না…
১৯৯৯ সালে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের মুসলিম বাজারে আবিষ্কৃত নূরী মসজিদ সম্প্রসারণ কাজ চলবার সময় শ্রমিকেরা মাটির সামান্য নিচে কংক্রিটের স্লাব দিয়ে মুড়ে দেওয়া একটা কুয়ো পাওয়া যায়। নির্মাণ শ্রমিকরা কৌতূহলবশত স্লাবটা ভেঙ্গে ফেলার সাথে সাথে বেরিয়ে আসে এক চাপা পড়া নির্মম ইতিহাস। তিনটি মাথার খুলি এবং বেশকিছু হাড়সহ কাপড়চোপড় বেরিয়ে এলে শ্রমিকেরা ভয় পেয়ে যায়। আবিষ্কৃত হয় ৭১ রের এক অকল্পনীয় নির্মমতার ইতিহাস, মুসলিম বাজার নূরী মসজিদ বধ্যভূমি… পরের দিন সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপারটা হাইলাইট হলে সাড়া পড়ে যায় শহীদদের স্বজনদের মাঝে। খবরটা পৌঁছে যায় বাবার খোঁজে পাগলপ্রায় পুত্র অনল রায়হানের কাছেও। তৎকালীন ভোরের কাগজের রিপোর্টার(বর্তমানে ডেইলি স্টারে কর্মরত) জুলফিকার আলি মানিক এই খবরটি কাভার করছিলেন। অনলের সাথে কথা বলবার পর তিনি জোরে সোরে অনুসন্ধান শুরু করলেন। সম্মিলিত অনুসন্ধানে পাওয়া গেল ৩০ শে জানুয়ারির সেই যুদ্ধে উপস্থিত থাকা এক সেনা সদস্যের। আমির হোসেন নামের এই সৈন্য সেইদিনের সেই দুঃস্বপ্নের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন… diflucan dosage for ductal yeast
আমাদের সাথে যে সাংবাদিক ছিলেন, তিনি কালো মতো একটা প্যান্ট পরেছিলেন। সাদা জামা এবং তার ওপর হলুদ রঙের সোয়েটার ছিল তার গায়ে। আমাদের উপর যখন হামলা হয়, তখন দেখলাম বুকে হাত চেপে ধরে-ওখানে একটা দেয়াল ছিল, তার গায়ে পড়ে গেলেন। দেখলাম, ওনার কাপড় রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তারপর আমি কিছুদূরে একটা গাছের পেছনে আশ্রয় নিয়ে দেখি কয়েকশো বিহারী ড্যাগার আর কিরিচ নিয়ে আল্লাহু আকবর স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে আসল। তারপর তারা মাটিতে পড়ে থাকা দেহগুলো কোপাতে কোপাতে টেনে পানির ট্যাংকের পশ্চিম দিকে টেনে নিয়ে গেল। তারপর আর আমি সেই লাশগুলোকে খুজে পাইনি।
১৯৯৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর জুলফিকার আলি মানিকের প্রতিবেদন নিখোজ নন, গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন জহির রায়হান হইচই ফেলে দেয় সর্বত্র। এদিকে একই বছরের ১৩ আগস্ট সাপ্তাহিক ২০০০ এ (বর্ষ ২ সংখ্যা ১৪) বাবার নিখোঁজরহস্য উন্মোচন করে প্রকাশিত হয় জহির রায়হানের পুত্র অনল রায়হানের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন বাবার অস্থির সন্ধানে । দিবালোকের মত পরিস্কার হয়ে যায় পারজ জামায়াতের প্রোপ্যাগান্ডা এবং আমাদের যাবতীয় সংশয়… -_-
আমি যখন স্কুলে পড়ি, তখন বাংলা বইয়ে একটা ছোটগল্প পাঠ্য ছিল । গল্পটার নাম ছিল সময়ের প্রয়োজনে। এটার অনেকটা অংশ জুড়ে ছিল এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার রোজনামচা, যা জহির মুক্তিবাহিনীর এক ক্যাম্প থেকে সংগ্রহ করবার পর নিজের ভাষায় গল্পাকারে লিখেছিলেন। এই গল্পটা পড়বার পর আমার ভেতরে ঠিক কি হয়েছিল সেটার সঠিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না। শুধু রাজাকার জারজদের প্রতি গভীর ও সীমাহীন একটা ক্রোধ আর দেশের প্রতি এক অনির্বচনীয় ভালোবাসার অকল্পনীয় আবেগে আমি মুহূর্তে অন্য মানুষে পরিনত হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর যতবার এই গল্পটা পড়তাম, ততবার এক রুদ্ধশ্বাস যন্ত্রণা আর গর্বে উদ্বেলিত হয়ে উঠতাম। যিনি এই গল্পটি লিখেছেন তাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করত। আরেকটুঁ বড় হয়ে একদিন আব্বুর কাছে জানতে পারলাম জহির রায়হান ১৯৭১ সালে নিখোঁজ হয়েছেন। ধারনা করা হয়, পাকবাহিনী আর বিহারীদের হামলায় তিনি হয়তো মারা গেছেন। আমি আমার আব্বুর কথা বিশ্বাস করিনি। সেই ছোট্টবয়সে আমার মনে হয়েছিল যেই মানুষটা আমাকে মুক্তিযুদ্ধ চেনালো, জানালো ৭১ কি এবং কেন, সেই মানুষটা এভাবে হারিয়ে যেতে পারে না। যদিও আজ আমি জানি জহির রায়হান আর ফিরে আসবেন না, মুসলিম বাজার বধ্যভূমির নাম না জানা হাজারো শহীদের ভিড়ে তিনি হারিয়ে গেছেন চিরকালের জন্য, কিন্তু কেন যেন আজো তার জন্য অপেক্ষা করতে ইচ্ছা হয়। কেন যেন মনে হয়, আজ তিনি থাকলে বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাসে সৃষ্টি হত নতুন ধারা,আমাদের দেশে তৈরি হত পৃথিবীর সেরা চলচ্চিত্র। পৃথিবীর সাহিত্য সম্ভারে আমাদের দেশের সাহিত্য মাইলফলক তৈরি করত ,যোগ করত নতুন পালক। সাংবাদিকতায় সৃষ্টি হত নতুন দিগন্তের… একজন হালকাপাতলা শরীরের জহির রায়হানের পক্ষে সবই সম্ভব ছিল। আমি আজো সেই জহির রায়হানের জন্য অপেক্ষা করছি… সময়ের প্রয়োজনে আজ যে তাকে খুবই প্রয়োজন… জহির রায়হান, আপনি কি আমার আকুতি শুনতে পাচ্ছেন??
তথ্যসূত্র–
১। http://www.somewhereinblog.net/blog/omipialblog/28734096
২. পাকিস্তানীদের প্রপোগান্ডার বিরুদ্ধে জহির রায়হানের সাক্ষাতকারঃ http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=Ptgh8hgnEmk
৩. এর বঙ্গানুবাদ করা হয়েছিল এটিএন বাঙলার বানানো এক ডকুমেন্টারিতে। সেই ডকুমেন্টারি হতে এই সাক্ষাতকারের অংশটুকু সংগ্রহ করেছেন বাকের ভাই, তাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা… https://www.facebook.com/photo.php?v=621434441249466&set=vb.100001487468175&type=3&theater
৪. প্রতিবার আমার সামনে ৩০শে জানুয়ারি,১৯৭২ স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠে, যতবার আমি এই লেখাটা পড়ি… http://www.sachalayatan.com/node/40657৪.https://www.amarblog.com/index.php?q=porimanob/posts/97447
৫. http://prothom-aloblog.com/posts/29/151668
৬. http://www.somewhereinblog.net/blog/Fahamoon/29317276
লেখাটি পূর্বে অন্যত্র প্রকাশিত…
রাজু রণরাজ বলছেনঃ
“আদি সভ্যকে” এই অসাধারন পোষ্টটি স্টিকিতে নেয়ার অনুরোধ জানাই। ♥
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ glaxosmithkline levitra coupons
:-SS :-S
দুরন্ত জয় বলছেনঃ ramipril and hydrochlorothiazide capsules
prednisone side effects in dogs long termসেই রকম একটা পোস্ট।
সময়ের প্রয়োজনে পড়ে আমার যে কেমন লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না!!
আর জহির রায়হান এর সম্পর্কে এত কিছু একসাথে জেনে ভাল লাগলো ।
ডন ভাই সাথে মুসলিম বাজার বদ্ধভূমি নিয়ে সাম্প্রদায়িক মানুষ গুলোর, বিহারি গুলোর, পাকিস্তানী জন্ম পরিচয় হীন গুলোর কাজের কথা টাও তুলে ধরতেন।
কিভাবে একটি বদ্ধভূমি একটি মসজিদে পরিণত হল। ।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
মুসলিম বাজার বধ্যভূমি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা তৈরি হচ্ছে। ওইটাও যথাসময়ে আসবে… :-bd আপাতত আপনি পড়েছেন এবং নতুন কিছু জেনেছেন,এটা জেনে খুবই ভালো লাগছে… পরিশ্রম সার্থক বলে মনে হচ্ছে… সাথেই থাকুন জয়… :এতো দিন কই ছিলি?: পড়বার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ও %%- %%- %%-
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
;;) ;;) :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি:
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
সেইরাম একটি পোষ্ট ।ধন্যবাদ ডন ভাই ।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
পড়বার জন্য অশেষ %%- %%- %%- শাহিন ভাই…
ইলোসিয়া মৌনিন বলছেনঃ
অসাধারন হয়েছে। :নক্ষত্রলোকের দেশে যাবে?: :নক্ষত্রলোকের দেশে যাবে?: :নক্ষত্রলোকের দেশে যাবে?:
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
পড়বার জন্য :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন:
চাতক পাখি বলছেনঃ
আমি আজো সেই জহির রায়হানের জন্য অপেক্ষা করছি… সময়ের প্রয়োজনে আজ যে তাকে খুবই প্রয়োজন… জহির রায়হান, আপনি কি আমার আকুতি শুনতে পাচ্ছেন? mycoplasma pneumoniae et zithromax
— আপনাকে শতসহস্র :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু:
প্রিয় জহির রায়হানকে লক্ষ্য-কোটি স্যালুট
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
^:)^ ^:)^ ^:)^ ^:)^
নীহারিকা বলছেনঃ
অনেক ভাল লিখেছিস…
নীহারিকা বলছেনঃ
অনেক ভাল লিখেছিস…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
:এতো দিন কই ছিলি?: :এতো দিন কই ছিলি?: :জয় গুরু:
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
অনেক অনেক অনেক কিছু জানতে পারলাম লেখাটা পড়ে। এতো সুন্দর ভাবে জহির রায়হান সম্পর্কে জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ… %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%-
সেই সাথে অসাধারণ এই পোস্টটা স্টিকি করার দাবি জানাচ্ছি… :)>-
অর্বাচীন দাড়কাক বলছেনঃ
দুর্দান্ত লিখেছেন দাদা! কিন্তু পোস্ট এর শিরোনাম এ আর পোস্ট এর ভেতর বার কয়েক এহেন গালি বিশেষ করে জারজ শব্দ ব্যাবহারের প্রয়োজন আছে কি!!
এটা ছাড়া! পোস্ট এর কোন তুলনা হবে না! :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি:
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
দাড়কাক ভাই, আপনার মতামত বিবেচনায় নিয়ে আপত্তিকর শব্দগুলো সরিয়ে দিয়েছি… ^#(^ আশা করি আর বিব্রত হবেন না… [-O<
পড়বার জন্য অশেষ ধন্যবাদ এবং %%- %%- %%-
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
প্রিয় সভ্যতাবাসী, আপনাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে…
আমার পোস্টখানায় আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত বিবেচনায় নিয়ে আপত্তিকর সকল শব্দ সরিয়ে আধুনিক কিছু শব্দ লাগানো হয়েছে।
অনুগ্রহ করে একবার পঠন দিয়া পুনরায় মতামত জানাতে জনাব এবং জনাবাগনের আজ্ঞা হয়… :প্রতীক্ষায় আছি…:
তারিক লিংকন বলছেনঃ
প্রিয় ডন মাইক্যাল এখনও আপনার পোস্টে “পাকি *র্য” টাইপ অশালীন শব্দ বিদ্যমান। কিন্তু ডন-দা আপনাকে এইসব শব্দও কৌশলে এড়িয়ে যেতে হবে! যেমন ধরেন আপনি ব্যবহার করতে পারেন ‘পাকি হায়েনার ঔরসজাত’ হায়েনা…
এইসব ছাড়া আপনার লিখার কোন তুলনা হয় না। অসাধারণ…
:-bd :-bd :-bd :-bd :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি:
আর মহান জহির রায়হানকে :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু:
স্যালুট ইমো’র প্রয়োজনবোধ করছি তীব্রভাবে। কর্তৃপক্ষ আশাকরি দেখবেন। :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু:
তারিক লিংকন বলছেনঃ
:প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…:
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
#-o #-o #:-S
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ventolin spray precio mexicoওটা আপনার মন্তব্যের সময়ই ঠিক করে দিয়েছিলাম… #-o কিন্তু আফসোস, শো করেনি হয়তোবা… :-SS এত কষ্ট করে কারেকশন খুঁজে দেবার জন্য অশেষ %%- %%- %%- %%- %%- এবং কৃতজ্ঞতা… :এতো দিন কই ছিলি?: :এতো দিন কই ছিলি?:
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
পরিশ্রমলব্ধ এবং তথ্যসমৃদ্ধ। লেখককে ধন্যবাদ তার চমৎকার লেখনীয়ার জন্য। জহির রায়হানের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। জহির রায়হান সম্পর্কে সামান্য একটি তথ্য আমার মন্তব্যে যোগ করলাম।
চল্লিশ দশকের মাঝামাঝি জহির রায়হান যখন স্কুলের নিচের ক্লাশের ছাত্র, তখন অগ্রজ শহিদুল্লা কায়সারের প্রভাবে তিনি রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন। শহিদুল্লা কায়সার তখন কলকাতার একজন ছাত্রনেতা। প্রকাশ্যে ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে এবং গোপনে কমিউনিস্টের সঙ্গে যুক্ত। জহির রায়হান তখন পার্টি কুরিয়ার ছিলেন। পার্টির আত্বগোপনে থাকা সদশ্যদের মাঝে চিঠিপত্র ও খবর আদানপ্রদানের কাজ করতো। প্রকাশ্যে কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ” স্বাধীনতা ” বিক্রি করতেন। তখনকার দিনে পার্টির কর্মীরাই পার্টির কাগজপত্র বিক্রি করতে পারতো। সেই আমলের একজন প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা জহির রায়হানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন,
” তখন ও ভাল করে হাফপ্যান্টও পরতে জানতো না । প্রায় বোতাম থাকতনা বলে একহাতে প্যান্টের কোমরের দিকে ধরে রাখতো। রায়হান ছিলো ওর টেকনেম। পার্টি পরিচয়ের ছদ্দ্যনাম। আসল নাম ছিল জহির উল্লাহ।” otc viagra uk
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ price comparison cialis levitra viagra
অসাধারন একটা তথ্য দেবার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা এবং %%- %%- %%- %%- কারাগার ভাই… :এতো দিন কই ছিলি?: :এতো দিন কই ছিলি?:
বায়েজিদ হাসান বলছেনঃ
পরিচ্চ্রম সার্থক
শুধু অসাধারণ বললে কম বলা হবে
আজ জহির রায়হান বেঁচে থাকলে স্বাধীনতা পরবর্তী কয়েক প্রজন্মকে স্বাধীনতার সত্যিকারের ইতিহাস শেখানোর জন্যে এত কিছু করা লাগতো না । চিরকাল জহির রায়হান কে মনে রাখবে বাংলাদেশ
%%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%-
:জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু:
:গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :
চাতক পাখি বলছেনঃ
:-bd :-bd :-bd :-bd :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি:
দারুণ বলেছেন হাসান ভাই!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
:এতো দিন কই ছিলি?:
does enzyte work like viagra
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
বাধাই করে রাখার মতো একটা কথা বলেছেন বায়েজিদ ভাই… :-bd :-bd :দে দে তালি: :দে দে তালি: :এতো দিন কই ছিলি?: :এতো দিন কই ছিলি?: sildenafil basics 100 mg filmtabletten
জহির রায়হানকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা ও :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু:
আশরাফুল করিম চৌধুরি বলছেনঃ
অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
পোষ্টটি স্টিকি করার দাবি জানাই
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
লেখাটা পড়বার জন্য ধন্যবাদ… %%- %%- আপনাকে কিছু জানাতে পেরেছি এটা জেনে খুব ভালো লাগছে… ^#(^
আর সভ্যতায় উষ্ণ অভিনন্দন…
কিরন শেখর বলছেনঃ
লেখার বিষয়বস্তু ভাল কিন্তু এমন সুন্দর লেখার শিরোনাম আরও ভালো এবং আকর্ষণীয় হওয়া দরকার ছিল। জহির রায়হান অনেক বড় বিষয় ওনার কোন বিষয় নিয়ে লেখা হচ্ছে সেটা নির্দিষ্ট থাকলে ভালো হয়।
মূল লেখায় কিছু ইংরেজি শব্দ আছে সেগুলো পরিহার করা উচিৎ। সর্বোপরি ভালো হয়েছে কিন্তু মাস্টার পিস হতে হলে আরও পরিমারজন পরিবর্ধনের দরকার আছে।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আপনার সাথে সহমত কিরনদা… :-bd :-bd >:D< পড়বার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা… %%- %%-
উদ্ভ্রান্ত পথিক বলছেনঃ
যা হোক অসসধারণ হইছে………
কিন্তু সে সময়ের পত্রিকার সংবাদ বাদ পড়ল কেন? ??
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কোন পত্রিকার কোন সংবাদ? :-S একটু স্পেসিফিকালি বলেন ব্রাদার…
উদ্ভ্রান্ত পথিক বলছেনঃ
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত জহির রায়হান বিষয়ে (৭২ এর ফেব্রুয়ারি) ।আর ‘সংবাদ’ ?
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
গত ৪২ বছরে হারিয়ে গেছে অনেক দলিল, অনেক ইতিহাস… ১৯৭২ সালের সংবাদপত্র কিংবা তথ্যসূত্রগুলোর মধ্যে নির্ভরযোগ্য প্রায় সবই হারিয়ে গেছে,আর যা আছে, তার বেশীরভাগই বিম্পি-জামাতের মারখোরীয় প্রোপ্যাগান্ডা… এর মাঝ থেকেই যতটুকু নির্ভরযোগ্য শক্ত এভিডেনস পাওয়া গেছে, তার উপরই এই লেখাটা লিখেছি… আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন…
উদ্ভ্রান্ত পথিক বলছেনঃ
যা হোক অসাধারণ হইছে………
কিন্তু সে সময়ের পত্রিকার সংবাদ বাদ পড়ল কেন? ??
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
গত ৪২ বছরে হারিয়ে গেছে অনেক দলিল, অনেক ইতিহাস… ১৯৭২ সালের সংবাদপত্র কিংবা তথ্যসূত্রগুলোর মধ্যে নির্ভরযোগ্য প্রায় সবই হারিয়ে গেছে,আর যা আছে, তার বেশীরভাগই বিম্পি-জামাতের মারখোরীয় প্রোপ্যাগান্ডা… এর মাঝ থেকেই যতটুকু নির্ভরযোগ্য শক্ত এভিডেনস পাওয়া গেছে, তার উপরই এই লেখাটা লিখেছি…
আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন…
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
এই অসাধারণ পোস্ট পড়তে দেরী হয়ে গেল।
অনবদ্য বললেও কম হবে।
জহির রায়হান সম্পর্কে কিছু বলার নেই। কিছু মানুষের কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ^:)^ ^:)^ ^:)^ ^:)^
দাদা, জুলফিকার আলী মানিক তো মনে হয় ঢাকা ট্রিবিউনের সিনিয়র সাংবাদিক… :-/
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
জুলফিকার আলী মানিক পোস্ট লিখবার সময় আমার জানামতে ডেইলি স্টারে ছিলেন, এখন তিনি হয়তো কর্মস্থল পরিবর্তন করতে পারেন। আমি অতি সত্বর খোঁজ নিচ্ছি আপু… :)]
পড়বার জন্য এবং অনুসন্ধানী মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা… %%- :-bd
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
খোঁজ নেয়া হলে জানাবেন। আমাদেরও জানা দরকার =P~
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
সেই যে গেলেন খোঁজ নিতে_ আর ফিরলেন না
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এই লেখাটা যখন গত বছর লেখা হয়, তখন আমার জানামতে জুলফিকার আলী মানিক ডেইলি স্টারে ছিলেন, এখন তিনি ঢাকা ট্রিবিউনে কর্মরত… লেখাটা কারেকশন করে দিলাম। ধন্যবাদ আপু নোটিস করবার জন্য… %%- @};-
~O) য়ের দাওয়াত রইল… :bz
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আমি তো চা খাই না দাদা
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
তবে কফি চলুক… :>
অথবা কোল্ড ড্রিংকস? :o)
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
কোল্ড ড্রিংকস আমি খাই না। কফি খাওয়াও নিষেধ… বরং পানি দিয়েই চলুক ( কোন ‘পাণি’ গ্রহন করব তা নিয়ে বরই প্যাকনা করি আমি )
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আপনি পাণি গ্রহনের ব্যাপারে উৎসাহী আগে বলবেন না? :> আমি আজই এ ব্যাপারে আন্টি-আঙ্কেলের সাথে কথা বলছি…
Bangla Kosh বলছেনঃ
অসাধারণ লিখনী ।
এমন লিখা আরো চাই লেখকের কাছে বাংলা কবিতা অনুরোধ ।
nogorkatha বলছেনঃ
খুব সুন্দর তথ্য বহুল একটি পোস্ট https://bit.ly/30UHtZu
প্রিয়া বলছেনঃ
সত্যি অসাধারণ লিখা, অনেক অনেক ধন্যবাদ । ছন্দ